উইন্ডোজের সাম্প্রতিক সংস্করণগুলো জনপ্রিয় করতে বেশ কিছু পদক্ষেপ
নিয়েছে মাইক্রোসফট। এর মধ্যে রয়েছে এক্সপিকে বিদায় দেওয়া। ২০১৪ সালের ৮
এপ্রিলের পর উইন্ডোজ এক্সপির জন্য আর কোনো আপডেট বা নিরাপত্তা না দেওয়ার
ঘোষণা দিয়েছে মাইক্রোসফট। মাইক্রোসফট অফিস ২০০৩-এর অফিশিয়াল সাপোর্টও শেষ
হবে একই সময়ে। মাইক্রোসফট জানিয়েছে, এক্সপির আপডেট বন্ধ করা হলেই
কম্পিউটারের ম্যালওয়্যারের আক্রমণ বেড়ে যাবে। তাই আগেভাগেই মাইক্রোসফটের
নতুন সংস্করণ আপডেট করার পরামর্শ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, এক সময়ের জনপ্রিয় উইন্ডোজ এক্সপি ২০১৪
সালনাগাদ বন্ধ হবে আর উইন্ডোজ ৭ বন্ধ হবে ২০২০ সালের ১৪ জুন। ২০১৫ সালের ১৩
জানুয়ারি পর্যন্ত উইন্ডোজ ৭-এর জন্য ফিচার আপডেট করে যাবে প্রতিষ্ঠানটি।
২০১২ সালের ২৬ অক্টোবর নকশায় বড় ধরনের পরিবর্তন করে উইন্ডোজ ৮ বাজারে
এনেছে মাইক্রোসফট। তবে, জটিল বলে উইন্ডোজ ৮ নিয়ে সমালোচনাও হয়েছে অনেক।
সম্প্রতি উইন্ডোজ ৮-এর আপডেট উইন্ডোজ ৮.১ উন্মুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে
মাইক্রোসফট কর্তৃপক্ষ।
মাইক্রোসফটের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উইন্ডোজ ব্যবহারকারীরা পুরোনো
সংস্করণ ছেড়ে অবশ্যই নতুন সংস্করণে অভ্যস্ত হবেন এতে কম্পিউটার সুরক্ষিত
থাকবে।
ওয়েববিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান নেট অ্যাপ্লিকেশনসের সাম্প্রতিক তথ্য
অনুযায়ী, কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেমের বাজারে উইন্ডোজের দখলে রয়েছে ৯১
দশমিক ৮৯ শতাংশ, অ্যাপলের ম্যাক ওএসএক্সের দখলে রয়েছে ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ আর
লিনাক্সের দখলে রয়েছে ১ দশমিক ১৭ শতাংশ।
বর্তমানে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে জনপ্রিয় সংস্করণটি হচ্ছে উইন্ডোজ
৭. বর্তমানে উইন্ডোজ ৭-এর দখলে রয়েছে বাজারের ৪৪ দশমিক ৩৭ শতাংশ। উইন্ডোজ
৭-এর পর জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম হচ্ছে এক্সপি। বাজারে ৩৭ দশমিক ১৭ শতাংশ
এক্সপির দখলে। উইন্ডোজ ভিস্তার দখলে রয়েছে ৪ দশমিক ৬২ শতাংশ আর উইন্ডোজ ৮
দখল করেছে ৫ দশমিক ১ শতাংশ।
0 মন্তব্য(গুলি) :
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন