Home » প্রতিবেদন » অনলাইনে আয়ের কিছু চরম বিতর্কিত পদ্ধতি যে পথে কখনো ভুলেও পা বাড়াবেন না
সোমবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৩
অনলাইনে আয়ের কিছু চরম বিতর্কিত পদ্ধতি যে পথে কখনো ভুলেও পা বাড়াবেন না
গত কিছুদিন ধরে দেখছি বিভিন্ন ব্লগে অনলাইনে আয়ের নামে চরম ভুল কিছু
পদ্ধতি নিয়ে আবোল-তাবোল লিখছেন অনেক নবাগত পথভ্রান্ত ব্লগার কিংবা আজকাল
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানেও দেখছি এই স্ক্যাম পদ্ধতি শিক্ষা দেয়। এই কাজগুলো আসলে
যারা করছে তারা নিজেরাই কিছুদিন যাবার পর বুঝতে পারে যে তারা ভুল পথে
আগাচ্ছে। কিন্তু ভুল তো ভুল এখন দেখছি অনেকে প্রায় বাজে কিছু কাজেও জড়িয়ে
পড়ছে না বুঝে তাই ভাবলাম তারই দু-একটি নিয়ে আজ একটু লিখি। যাতে আর কেউ
অন্তত এই ভুলগুলো না করে।
বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিদিন অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিভিন্ন খেলা। আর এসব
খেলা নিয়ে অনলাইনে অনেক সাইটেই হয় বেটিং প্রতিযোগীতা। যেখানে থাকে অনেক
লোভনীয় অফার। এমনই একটি সাইট bet365.com। এই সাইটটি রয়েছে এমন বাজি
প্রতিযোগীতার জন্য শীর্ষে। এখানকার লোভনীয় সব অফার দেখে কিংবা প্রথম ছোট দু
একটি দান জিতে অনেকে বড়সর ভাবে নামার প্রস্তুতি নেন কিন্তু এটা নিশ্চিত
ভাবে জেনে রাখবেন আপনি যখন জেতেন তখন অন্য কেউ হারে তাই আজ বা কাল আপনাকেও
হারতে হবে।
ক্যাসিনো খেলাটির সাথে অনেকই পরিচিত। তবে অনলাইনে এই খেলার পেছনে অর্থ
লগ্নি করে বিভিন্ন প্রতিযোগীতা হয়। এটাও বেটিং এর একটি অংশ এবং এখানেও একই
কথা প্রযোজ্য।
হাইপ শব্দটির সাথে আপনারা অনেকেই পরিচিত হয়ে থাকবেন। কারন এটা নিয়ে
বিভিন্ন ব্লগে মাঝে মাঝেই বেশ প্রচারনা দেখা যায়। আবার অনেক সাইটও দেখি
হাইপের। ব্লগ পোস্টে বা হাইপ সাইটে গেলে দেখা যায় তারা প্রতিদিন নাকি
লগ্নিকৃত অর্থের ২৫% থেকে শুরু করে ৫০০% পর্যন্ত লভ্যাংশ দেয়!! কিন্তু খুব
স্বাভাবিক ভাবেই চিন্তা করুন। কোন বৈধ উপায়ে কি এত আয় সম্ভব? কখনোই না
কিন্তু তারপরও অনেকে পেমেন্ট প্রুফ পযন্ত দেখাচ্ছে। তবে কোথা হতে আসছে এই
অর্থ? হূমম এসব হাইপ সাইটের এডমিনরা তাদের সংগৃহীত অর্থ বেটিং সাইট বা
ক্যাসিনোতে লগ্নি করেন। তাই আপনার দেয়া টাকায় যদি তারা বাজি জেতেন তবে
আপনিও হয়ত পাবেন লভ্যাংশ দেখাতে পারেন তার পেমেন্ট প্রুফও। কিন্তু যেহেতু
আপনার দেয়া টাকা তারা বেটিং বা ক্যাসিনোর মত ঝুকিপূর্ণ জায়গায় বিনিয়োগ
করেন। তাই প্রথমদিন হয়ত তারা জিতবে, দ্বীতিয়দিনও জিতল কিন্তু তৃতীয় তো তাকে
হারতেই হবে। আর তখন আপনার টাকাও যাবে আর সেই সাইটের কোন হদিসও থাকবে না।
কপাল খারাপ হলে এমনটি আপনার প্রথম বিনিয়োগেই হতে পারে।
আর এজন্য যে কোন হাইপ সাইটই কদিনের মাথায় স্ক্যাম হয়ে যায়।
আপনারা হয়ত বিভিন্ন হাইপ রিভিউ সাইটের রিভিউ দেখে কোন সাইটকে ভাল মনে
করতে পারেন তবে শুনে রাখুন রিভিউ সাইটের ঐ রিভিউগুলোর বেশীর ভাগই স্পন্সর
করা। মজার ব্যাপার হলো এমন একটি স্পন্সর রিভিউ বাংলায় লেখার অফার আমার
কাছেও এসেছিল। আমি তাদেরকে ফিরিয়ে দিলেও কৌশলে জেনে নেই তাদের ভেতরের অনেক
কথা।
ক্লাব এস্টেরিয়া নামক একটি শব্দ আজকাল খুব শুনছি। যা থেকে নাকি অনলাইনে
আয়ের প্রচুর সুযোগ আছে বলে শুনি। তবে আমি আর এই স্ক্যাম পদ্ধতিটি সম্পর্কে
বেশি কিছু বলতে চাচ্ছি না আপনারাই একটু যাচাই করে দেখুন তো এটা কি অনেকটা
হাইপের মতই না?
Related Posts
Stay Tuned with our News Letter
Don't miss out on the latest
news, sign up for our Newsletter.
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন
(
Atom
)
টিউনারহোম তথ্যনির্ভর একটি প্রযুক্তির সাইট যেখানে আপনি আপনার প্রযুক্তির নানা জ্ঞানকে ছড়িয়ে দিতে পারবেন অনায়াসে। তাই আমরা চাই তথ্য প্রযুক্তির পথ চলা হক আরও সহজ ও সুন্দর। tunerhome.com
উত্তরমুছুনলিখতেথাকুনপ্রযুক্তিরবাড়িতে